শরীয়তপুর ডামুড্যা পৌরসভা নির্বাচনে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নাজমুল হক সবুজ মিয়া।
রোববার তিনি জেলা প্রশাসক ও ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
নাজমুল হক সবুজ মিয়া তার লিখিত অভিযোগপত্রে জানান, আচরণবিধি অনুযায়ী সংসদ সদস্য নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক নৌকার প্রার্থী কামাল উদ্দিন আহমদের পক্ষে উঠান বৈঠক, পথসভাসহ অনেক নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন।
নাহিম রাজ্জাকের এই কাজ নির্বাচনি আচরণবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থী দাবি করে নাজমুল উল্লেখ করেন, ‘তার (নাহিম) এমন কর্মকাণ্ডে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা আমার নির্বাচনি প্রচারে বাধা দেয়া, মাইক ভাঙা, পোস্টার ছেড়া ও হুমকি দিচ্ছেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর-৩ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, ‘অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পৌর এলাকায় আমার বাড়ি, আমি নিজ বাড়িতে গিয়েছি। কোনো নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে অংশ নেইনি। প্রমাণ থাকলে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীকে দিতে বলেন।’
অভিযোগ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান জানান, এখনও তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। নির্বাচনের সময় যে কোনো অভিযোগ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দিতে হবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আইনি সহযোগিতা চাইলে প্রশাসন থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে, পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কামাল উদ্দিন আহমদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনি প্রচারে বাধা, মাইক ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা ছৈয়ালও।
রোববার দুপুরে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে রেজাউল করিম উল্লেখ করেন, দুপুর আড়াইটার দিকে নির্বাচনি প্রচারের সময় তার সমর্থকদের ওপর আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কামাল আহমদের সমর্থকরা হামলা করে। এতে একটি মাইক ভেঙে যায় এবং রেজাউলের কয়েকজন সমর্থক আহত হন।
ডামুড্যা উপজেলার নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা সোহেলের থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
চতুর্থ ধাপে পৌরসভার নির্বাচনে শরিয়তপুর জেলার ডামুড্যা পৌরসভার ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন চার জন। ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ২৫৯।